Sunday, February 9, 2020

৲৲৲ তুলসী পাতার অনেক গুণ ৲৲৲


জ্বর হলে জলের মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন৷ অথবা তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন৷ দিনের মধ্যে তিন- চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান৷ জ্বর
খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷

#ডায়াবেটিস_এবং_আমি.....


সাধারণভাবে আমি কোন কিছু যাচাই বাছাই ছাড়া গ্রহন করি না সেটা দুনিয়াবী বিষয় হোক বা দ্বীনের বিষয় হোক। আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্যমত বিভিন্ন ডাইমেনশনে সব বিষয়ের যাচাই বাছাই করা কোন কিছু নিজে গ্রহন বা অন্য কাউকে রিকমেন্ড করার পূর্বে।
যা হোক যে বিষয়ে বলতে চাইছি সেটা সংক্ষেপে বলি। আমার মায়ের ডায়াবেটিস প্রায় ২৫ বছর এবং উনার ডায়াবেটিক সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত এবং উনাকে নিয়মিত ৩ বেলা ইনসুলিন নিতে হত দুই ধরনের ইনসুলিন একসাথে মিক্স করে। ঢাকাতে বহু হাসপাতালে আমাকে যেতে হয়েছে আমার মায়ের এই ডায়াবেটিকের কারনে কেননা এই একটি অসুখের কারনে উনার হার্ট, কিডনী, চোখ ইত্যাদি সবই মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত।
গত মাসে (সেপ্টেম্বর ২০১৮) অবশেষে আমার নিজের ডায়াবেটিক ধরা পড়ে, আলহামদুলিল্লাহ্‌ যদিও এই বয়সে (৪৯) আল্লাহ আমাকে অনেক রোগ বালাই থেকেই মুক্ত রেখেছেন। যখন আমার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্বাভাবিকের থেকে ৩ গুনের বেশি কোলেস্টরেল রক্তে Triglyceride 479mg/dL এবং ডায়াবেটিস। খাবার আগে ১৩.১ আর খাবার পরে ২০ এই ছিল আমার ডায়াবেটিস মাত্রা যখন ধরা পড়ে এই রোগ।
বর্তমানে আমিডায়াবেটিস সমিতির একজন রেজিস্টার্ড রোগী। এটি ধরা পড়ার পর থেকেই আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে মূলত বিভিন্ন ভাবে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি ইন্টারনেটে ইউটিউবে, বিভিন্ন মেডিক্যাল আর্টিকেল সাইটে এবং বিভিন্ন ডায়াবেটিক রোগীদের সাথেও কথা বলা শুরু করলাম। অনেক কিছুই পেলাম তবে তাতে খুব ভালো কাজের এমন কিছু পেলাম না।
একদিন উত্তরার Taq'wa Books এ বই গোছানোর সময় পেলাম একটি কৌটা জরাজীর্ণ অবস্থায় এবং প্রথমে এটি আমি ফেলেই দিতে যাচ্ছিলাম, তবে ফেলার আগে একটু পড়ে দেখতে চাইলাম এতে কি আছে আর এর বর্ণনা কি। লক্ষ্য করলাম এর গায়ে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টরেল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। তখন আমি ওটি ফেলে না দিয়ে বাসায় নিয়ে আসলাম পরীক্ষা করার জন্য, কেননা আমার যেহেতু এই দুইটা (ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টরেল) সমস্যায় আছে তাহলে নিজের উপর আগে পরীক্ষা করে দেখি না কেন।
এরপর #বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলাম পরীক্ষা। প্রথমে এটি খাবার আগে সুগারের লেভেল মেপে লিখে রাখলাম এরপর এটি অল্প মাত্রায় পানির সাথে গুলিয়ে খেলাম বেশ ভয়ে ভয়ে, কি জানি কি হয় আবার!
এরপর স্বাভাবিক #ডায়াবেটিস রোগীর খাবার খেলাম এবং ২ ঘণ্টা পর আবার #সুগার লেভেল মাপলাম। মনে হল যে এটাতে কাজ হচ্ছে। এরপর আমি আরো প্রায় ১০-১২ দিন এভাবে নিয়মিত কখনো আমার নিয়মিত ওষুধ +#মেথির_গুড়া, আবার কখনো শুধু মেথির গুঁড়া সকালে এবং রাতে খেতে লাগলাম। আর আমি সব সময় রেজাল্ট মেপে লিখে রাখতাম এবং কি কি খেয়েছিলাম ইত্যাদি সেগুলিও লিখে রাখতাম রেজাল্টের পাশাপাশি, আর এর জন্য এক মাসে প্রায় ৩৫টা স্ট্রিপ শেষ হল।
রেজাল্ট যা পেলাম তাতে মনে হল যে এটা কাজ করছে, এরপর একদিন দুপরের খাবারের পর সাহস করে ২ টি বড় #মিষ্টি খেয়ে ফেললাম এবং খাবার পরপর সাথে সাথে ২ চামচ মেথির গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেললাম। এরপর কোন ধরনের হাঁটাহাঁটি না করে সোজা ঘুম। ২ ঘন্টা পর উঠে ভয়ে ভয়ে সুগার মাপলাম, এবং #আলহামদুলিল্লাহ্ লেভেল ৬.৯!
আমার এই নিশ্চিত রেজাল্ট পাবার পর এবার আমি এটি আমার মায়ের উপর প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিলাম। আমার মা মূলত #ইনসুলিন নির্ভর এবং অনেক সময়ই তার সুগার মাত্রার নিচে নেমে যেত আর তখন হত এক ভয়াবহ অবস্থা। তাড়াতাড়ি তাকে আবার মিষ্টি জাতিয় কিছু খাইয়ে এরপর সুগার লেভেল বাড়াতে হত। এক কথায় তার ডায়াবেটিক ভয়াবহ মাত্রার এবং অনেক সময় লেভেল এত বাড়ত যে মেশিন রিডিং দিতে পারত না ঠিক মত।
আমি তাকে বললাম যে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে সাথে মেথি খাবার জন্য, তিনি মেথি গুড়ার বদলে অবশ্য আস্ত পানি দিয়ে গিলে ফেলেন। এরপর কয়েকদিন পর ইনসুলিন বন্ধ করে মেথির পরিমান বাড়িয়ে দিয়ে কি হয় সেটা দেখতে। আলহামদুলিল্লাহ্‌, ১০-১২ দিন এভাবে ইনসুলিন বন্ধ করে শুধু মেথি খেয়ে তিনি সম্পূর্ণ ভালো অবস্থায় এবং পাশাপাশি তার অন্য যে সমস্ত সমস্যা ছিল সেগুলি কমে গেল।
এবার আমি আরো বেশি নিশ্চিত হলাম যে এটি আসলেই কাজ করে ইনসুলিনের বিকল্প হিসাবে। কিন্তু কিভাবে সঠিক মাত্রায় কাজ করে এটি বের করার জন্য আমাকে আরো অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে হয়েছে এবং আমার নিরিক্ষার ফলাফল নিম্নে উল্লেখ করলাম।
১/ আমি অনেকে ডায়াবেটিস রোগীর কাছেই শুনেছি যে তারা মেথি ভেজানো পানি খান কিন্তু তেমন কোন কাজ হয়নি। আমি

গরমে সারাদিন সতেজ থাকার উপায়


দেখতে দেখতে চলে এলো গরমের সময়। শীতের এই শেষে আর গরমের এই শুরুতে একদিকে যেমন প্রচণ্ড ঘাম হয় অন্যদিকে একটু বেখেয়ালি হলে আপনি হয়ে যেতে পারেন অসুস্থ। তাই এই সময়ে আপনার নিজেকে রাখতে হবে প্রাণবন্ত আর ফুরফুরে। আর সেজন্য সকালে বাইরে বেরোনোর আগে থেকেই শুরু হতে পারে নিজেকে সারাদিন সতেজ রাখার প্রস্তুতি।
গোসল
সকালে বের হবার আগে গোসল সেরে নিন। এতে আপনি যেমন নিজেকে পাবেন ফুরফুরে মেজাজে তেমনি কাজের শুরুতেই দিনটা শুরু হবে প্রাণচঞ্চলভাবে। গোসলের পানিতে একফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন, এটি আপনাকে প্রশান্তি দেবে।
সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তায় ভারী তেলচর্বি খাবার না রেখে হালকা পানীয় যেমন কমলার জুস কিংবা মিল্ক সেক রাখতে পারেন। এটি আপনাকে একদিকে যেমন মুখরোচক খাবার দিচ্ছে তেমনি আপনার শরীরকে দেচ্ছে সারাদিনের এনার্জি।
টিস্যু
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। আপনার পার্স ব্যাগে কিংবা পকেটে আপনি খুব সেহজেই এটি বহন করতে পারেন। গরমে ঘামে খসখসে কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চামড়ায় লালচে দাগ পরে যায় এবং সাথে সাথে এলার্জিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে তাই গরমে হাত-মুখ মোছার কাপড় ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
হালকা রঙের কাপড়
গরমের শুরুতে হালকা রঙের কাপড় পরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সাদা রঙের কাপড় এই হালকা গরমে বেশি পরতে পারেন, তবে কালো রঙের কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো। কাপড় ব্যবহারের সময় কাপড়টি সম্পূর্ণ সুতি কি না তার দিকে কেনার সময় লক্ষ রাখুন।
চুল বাঁধার ধরন
এই সময় চুল বেঁধে রাখা চুল ছেড়ে রাখার থেকে ভালো। এতে আপনার গরম তুলনামূলকভাবে কম লাগবে। এই গরমে কোথাও যেতে খোঁপা কিংবা পলিটেইল খুব সহজেই আপনার সঙ্গে মানিয়ে যাবে।

দাড়িঁয়ে থেকে পানি খেলে শরীরে যে সমস্ত ক্ষতি হয়!!


পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়: দাঁড়িয়ে পানি খেলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। সেই সঙ্গে স্টমাকে উপস্থিত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলে বদ হজমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে তলপেটে যন্ত্রণা সহ আরও নানা সব শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়।
আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে: একেবারেই ঠিক শুনেছেন। দাঁড়িয়ে জলে খাওয়ার সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের সরাসরি যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরের অন্দরে থাকা কিছু উপকারি রাসায়নিকের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ভুলেও এই কুঅভ্যাসটি রপ্ত করবেন না! তাহলে কষ্ট বাড়বে বই কমবে না।
অ্যাংজাইটি লেভেল বেড়ে যায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি খেলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অকারণ মানসিক চাপ কিন্তু শরীরের জন্য় একেবারেই ভাল নয়। তাই এক্ষেত্রে সাবধান হওয়াটা দরুরি।
কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার সময় শরীরের অন্দরে থাকা একাধিক ফিল্টার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে পানীয় জলের মধ্যে থাকা একাধিক ক্ষতিকর উপাদান প্রথমে রক্তে গিয়ে মেশে, তারপর সেখান থেকে কিডনিতে এসে জমা হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে এক সময় কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই আজ থেকে ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার কথা ভাববেন না।
জি ই আর ডি: দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি খেলে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। ফলে এমনটা হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে ইসোফেগাস এবং পাকস্থালীর মধ্যেকার সরু নালীটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে “গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজজ” বা ডি ই আর ডি-এর মতো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে।
পানি খেলেও তেষ্টা থেকেই যায়: স্টামাকে কম বেশি প্রায় দেড় লিটার পানি জমা হতে পারে। এই পরিমাণ পানি যখন আমরা একেকবারে খেতে পারি না তখন বারে বারে তেষ্টা পেতে শুরু করে। আর এমনটা কখন হয়? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের একাধিক জায়গায় বাঁধা পেতে পেতে শেষে স্টামাকে এসে যেটুকু পানি জমা হয়, তাতে চাহিদা মেটে না। ফলে বারে বারে তেষ্টা পেতে থাকে। প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বি সি আগে এই তত্ত্বটি আবিষ্কার করে ফেলেছিল আয়ুর্বেকি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আজ ২১ শতকে দাঁড়িয়েও আমাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আজান্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের শরীর।

খাবার খাওয়া সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারনাঃ

খাবার খাওয়া সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারনাঃ
১. দুপুরে পেট ভরে ভাত খাওয়াটা ঠিক নয়। সকালে ভারী খাবার খেতে হবে। কেননা, এর পরে আমরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুরের দিকে হালকা খাবার খেতে হবে। আর রাতের বেলায় মাঝামাঝি খাবার খেতে হবে। রাতের বেলায় সাধারণত ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার খেতে হবে।
২. আমরা অনেক সময় ব্যায়াম করার ঠিক আগে খাই বা খেয়ে উঠেই হাঁটাহাঁটি শুরু করি। কিন্তু যেকোনো বেলায়ই খাবার খাওয়ার পরপরই হাঁটা ঠিক নয়।
৩. খাবার খেতে খেতে বেশি পানি খেলে হজমে সমস্যা হয়। খাওয়ার মাঝে বেশি পানি খেলে ঠিকমতো খাবার হজম হয় না।
৪. প্রচলিত আছে যে শরীরে কাটা-ছেঁড়ার পর টক খাওয়া যাবে না। টক খেলে ক্ষত বাড়বে, সেটা ঠিক নয়। বরং এ সময়ে ভিটামিন সি খাওয়ার প্রয়োজনটা পড়ে বেশি, তাই এ সময়ে টক খাওয়াটা ক্ষতিকর নয়।
৫. ফল খাওয়ার পরে পানি খাওয়া উচিত নয়। এ কথাটা ঠিক। কারণ, ফল খাওয়ার পর এটা হজম হতে সময় লাগে। আর হজমে যেন অসুবিধা না হয়, সে জন্য যেকোনো ফল খাওয়ার পর পানি না খাওয়াটা ভালো।
৬. সকালের খাবারের পরই চা পান করা ঠিক নয়। ভরপেট সকালের নাশতা খাওয়ার পরে চা খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। নাশতা খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চা পান করা উচিত।
৭. চিংড়ি মাছ খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে মনে করা হয়। সে জন্য অনেকে বাচ্চাদেরও চিংড়ি মাছ খেতে দেন না। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য চিংড়ি মাছটা খাওয়া দরকার। আর বড়দের, যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক আছে, তাদের চিংড়ি মাছ খেলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি, তাদের।
৮. ডায়েট করা মানেই অনেকেই মনে করেন ভারী খাবার কিংবা ফাস্টফুড একদম খাওয়া যাবে না। এটা ঠিক নয়। ভারী খাবার বা ফাস্টফুডে যেহেতু ক্যালরি বেশি থাকে, তাই এসব খাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো ক্যালরি বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। তবে সালাদ, ফল—এগুলো খাওয়া যাবে।
৯. ভারী খাবার খেয়ে অনেকে শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটা কখনো ঠিক নয়। ভারীখাবার খেয়ে কখনো শুয়ে-বসে কাটানো যাবে না। বরং হাঁটাচলা করতে হবে।
১০. স্ন্যাকস-জাতীয় খাবার খাওয়ার পর মূল খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
১১. রাতে সাধারণত শাক কিংবা করলা খেতে নিষেধ করা হয়। এটা ঠিক নয়। রাতে ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে হাঁটাচলা করলে শাক বা করলা হজম হতে সমস্যা হয় না।
১২. ঘুমানোর আগে আমরা অনেকে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকি। ইসুবগুলের ভুসি রাতের খাবারেরপরে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানি দিয়ে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ

দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ
১. যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা ঘুমুতে যাবার আগে চিনিসহ এক গ্লাস দুধ খান। এমনিতেই ঘুম পাবে।
২. তাজা ফুল অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু তা বেশিদিন ঘরে রাখা যায় না।নেতিয়ে যায়। ফুল বেশিদিন তাজা রাখতে হলে ফুলদানির পানিতে একটু কর্পূর মিশিয়ে দিন। ফূল অনেকদিন তাজা থাকবে।
৩. ঘরে বিভিন্ন ফলফলাদি থাকলে মাছির উৎপাত হয়। মাছির উৎপাত এড়াতে চাইলে ঘরে একটি হালকা ভেজা দড়ি ঝুলিয়ে রাখুন। মাছি সব দড়িতে বসবে।
৪. বৃষ্টির দিনে পিপঁড়ার উৎপাত হলে ব্লিচিং পাউডার পানিতে মিশিয়ে ঘর মুছুন। পিপঁড়ার উৎপাত কমে যাবে।
৫. সিল্ক এবং জরির কাজ করা শাড়ি, জামা, ওড়না ইত্যাদিতে সহজেই ছত্রাক পড়ে। টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়ে রাখুন, ছত্রাক পড়বে না।
৬. পেয়াজ কাটলে হাতে গন্ধ হয়। তাই কাটার পর হাতে সরিষার তেল মেখে নিবেন। গন্ধ হবে না।
৭. পারলে প্রতিদিন একবার করে মুখে বরফ ঘষুন। এটি ত্বকের জন্য ভালো।
৮. মুখে ব্রণ উঠলে বেশি বেশি পানি পান করুন ।

হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখার টিপসঃ

হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখার টিপসঃ
======================
১. প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে।
২. মাছের ডিম, মগজ, পনির, ডিমের কুসুম, মাখন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৩. যদি প্রয়োজন না হয় পাতে বাড়তি লবণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৪. দুধ খাবেন। কিন্তু ননি তোলা দুধ ও দই খান।
৫. বেশি বেশি মাছ খান। মাছের তেলে আছে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড’।
৬. লাল মাংস না খাওয়াই ভালো।
৭. কখনোই মুরগির চামড়া খাবেন না।
৮. শালগম, সয়াবিন, শুকনা শিমের বিচি ও মটরশুঁটি বেশি খাবেন।
৯. ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার যেমন লেবু, আমলকী, কাঁচামরিচ, পেয়ারা বেশি খাবেন।
১০. টিনজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
১১. টাটকা খাবার খান।
১২. দেহের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
১৩. যতটুকু সম্ভব হাসুন।
১৪. দুশ্চিন্তা উত্তেজনা নয়।
১৫. সবার সঙ্গে গল্প করুন।
১৬. গান গাইতে পারেন মনের আনন্দে।
১৭. মজার বই পড়ুন।
১৮. শারীরিক পরিশ্রম করুন।
১৯. নিয়মিত ব্যায়ম করুন।
২০. ধূমপান বর্জন করুন।
**********************************************